পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ হীন স্বার্থের জন্য প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে জগন্য ভাবে হামলা করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে সুটিয়াকাঠীর নান্দুহার গ্রামের মামলা বাজ শাহ আলমের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় বৃহস্পতিবার (১০/০২/২০২১)সকালে মাছ ব্যাবসায়ী নান্দুহারের মোঃ মন্টু সিকদার (৬০) ব্যাবসার জন্য মাছ ক্রয়ের জন্য নান্দুহার বাজারে আসে যথারীতি। কিন্তু ঐ সময়ে ওৎ পেতে থাকা মামলাবাজ ও বদ চরিত্রের নিন্দিত মানুষ শাহ আলম ও তার ছেলেরা আকর্ষিক হামলা চালায় মন্টু সিকদারের উপর। এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি সহ রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে মন্টু সিকদার কে। আঘাতে আঘাতে মন্টুর শরীর থেকে প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণ হয়। স্থানীয় লোকজন আসার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পডে বলে এক ব্যাবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান। অবশ্য বাজারের কিছু কিছু লোকজন আরও জানান , মন্টু সিকদারের সাথে মোটা অঙ্কের টাকা ছিল। তবে হামলাকারীরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে টাকা পয়সা নিয়ে ছিটকে পড়েন। এদিকে সরেজমিনে গণ মাধ্যম কর্মীরা নান্দুহার বাজারে গিয়ে অনেক অজানা তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। এলাকার বেশির ভাগ লোকজন মিডিয়াকে বলেন, জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে উভয় পরিবারের সাথে মামলা চলমান। সর্বশেষ পর্যায়ে আরও জানা যায় গত বুধবার পিরোজপুর জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট কোটে একটি মামলায় অভিযুক্ত শাহ আলম কে চরম ভাবে ধিক্কার দেয়। মামলা বাজ আবারও নুতন করে হামলা করে মামলাবাজ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গত কালের ঘটনার পর পরই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বদ চরিত্রের শাহ আলম নিজেকে বাঁচাতে। এদিকে স্থানীয় লোকজন মুহুর্তের মধ্যে জরুরী চিকিৎসা দিয়ে জরুরী ভাবে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান, রোগীর শরীরে ৯ টি সেলাই করা হয়েছে। অপর দিকে মিথ্যে অভিনয় করে হাসপাতালে ভর্তি হলেও মিডিয়ার প্রাথমিক তদন্তে শাহ আলমের নাটকের সংলাপ জনসম্মুখে খোলাসা হয়ে যায়। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশেষ কারণে না থাকায় কর্তব্যরত এস আই মেঃ মামুন উভয়ের অভিযোগ শুনে সরাসরি হাসপাতালে সঠিক তথ্য জানার জন্য সকল বিষয়ে অবলোকন করেন। তবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসার পর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে গণ মাধ্যম কর্মীদের কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি শাহ আলম।অবশ্য রক্তাক্ত অবস্থায় মন্টু সিকদার কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিডিয়ার চোখে মামলা বাজ শাহ আলমের কির্তীকালাপ প্রাথমিক ভাবে ধরা পড়ে বলে সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান। আইনের দৃষ্টিতেও শাহ আলম নানান কায়দায় দারুণ প্রশ্ন বিদ্ব হয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে থাকা মন্টু সিকদার কান্না রত ভাষায় মিডিয়াকে বলেন ওরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে। আমি কোন মতে বেচে আছি। জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে আমার উপর হামলা করে। নান্দুহার বাজারে বসে আমার উপর হামলা করে এবং এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকি। ঐ সময়ে সন্ত্রাসী চক্রের মূল গড় ফাদার শাহ আলম আমার সঙ্গে থাকা কয়েক হাজার টাকা নিয়ে ছিটকে পড়েন। আমি আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচারের দাবি জানাই। সমাজ থেকে এজাতীয় নষ্ট প্রকৃতির মানবরুপী শয়তানের কঠিন শাস্তি হোক।
Leave a Reply